রূপালী সৈকত ডেস্ক:
মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) বা এজাহারে ভুল থাকলে শাস্তি পেতে হবে—সম্প্রতি এমন বার্তা পয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এজাহারের ভুলত্রুটিতে কম সাজা পাচ্ছে অপরাধীরা। তবে আইনজীবীরা বলছেন, উপযুক্ত সাজা নিশ্চিতে শুধু ত্রুটিমুক্ত এজাহার নয়, সুষ্ঠু তদন্তও জরুরি।
সম্প্রতি বগুড়ার শাজাহানপুরের ম্যাক্স ক্লিনিকে নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ যে এজাহারে তৈরি করে তাতে আটক ক্লিনিক মালিক সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না। আর এমন ক্রটি দেখা গেছে আরও কিছু ঘটনায়। আর এতেই ব্যাহত হচ্ছে মামলার তদন্তকাজ।
এ অবস্থায় বেশ কিছু ফৌজদারি মামলার তদন্ত ও সাজা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। এবার তারা বলছে, আসামির কম সাজা হওয়ার পেছনে শুধু দুর্বল তদন্ত নয়, অপূর্ণাঙ্গ এজাহারও দায়ী।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, একটি মামলায় নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ এজাহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কারণে নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ এজাহার নিশ্চিতে সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।
গতকাল রোববার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায়ও এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মামলায় নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ এজাহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ কারণে এজাহারে ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রমাণ পেলে অফিসার ইনচার্জের (ওসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তার প্রভাব পড়বে চাকরির খতিয়ানে।
তবে আইনজীবীদের মত ভিন্ন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, ‘তদন্ত ঠিক হলে এজাহারের ভুল বড় প্রভাব ফেলবে না। ত্রুটিমুক্ত এজাহারের চেয়েও জরুরি সুষ্ঠু তদন্ত।’