সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদগাঁওতে পুরুষ দিয়ে নারীদের সাজগোজের সংবাদে এলাকায় তোলপাড়! নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন মহেশখালীতে প্রয়াত সাংবাদিক শফিকুল্লাহ খাঁনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা  ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানকে শান্তির আহ্বান, না হলে আরো বড় হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের উপদেষ্টা পরিষদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে সেচ্ছাশ্রমে এক কিলোমিটার সড়ক মেরামত নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে ৪লক্ষ মানুষ মহেশখালীতে প্রয়াত সাংবাদিক শফিকুল্লাহ খাঁনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা জানারঘোনায় বন্যহাতির আক্রমণে আহত রিয়া মণির পাশে দাড়াঁলেন উপজেলা প্রশাসন।

একাদশ ধাপে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আরও ১৬৫৪ রোহিঙ্গা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২১১ বার পঠিত

শাহেদ হোছাইন মুবিন :

কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো থেকে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার একাদশ ধাপে স্বেচ্ছাগামী ৪৮৩ পরিবারের ১ হাজার ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছেন। আজ বুধবার সকালে উখিয়া কলেজে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে প্রথম গাড়িবহরে ১৯টি বাসযোগে ১০০৬ জন রোহিঙ্গা নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এরপর বিকেলে দ্বিতীয় গাড়িবহরে ১৮টি বাসযোগে ৬৪৮ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। আজ সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। রাতে চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থানের পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় জাহাজযোগে তাঁরা ভাসানচর যাবেন। গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে ভাসানচরে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এরপর থেকেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভাসানচর যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০টি ধাপে এখন পর্যন্ত ২২৫৯৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান, এবার ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভাসানচরে পৌঁছার কথা রয়েছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছেন। আরও কিছু রোহিঙ্গা আসার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে কতজন রোহিঙ্গা এবার এখানে আসছে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। এখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে নিজ নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এর আগে গত ৩০ জানিয়ারি ১০ দফায় ৭১৮ জন রোহিঙ্গা কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যান। বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস করছেন। এছাড়াও গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়। জানা গেছে, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs