নিজস্ব প্রতিবেদক।
উখিয়ায় প্রতিটি গ্রামঞ্চলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উপদ্রব। লিপ্ত হচ্ছে চুরি,ছিনতাই,মাদক ব্যবসা, মাদকসেবনসহ নানান ধরণের অপরাধ কর্মকান্ডে। তারা প্রতিনিয়ত মরণনেশা ইয়াবা-ফেন্সিডিল, ড্যান্ডির মতো মরণ নেশায় আসক্ত হচ্ছে। এসব মাদকের টাকা জোগাড় করতে তারা ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনাতেও জড়িয়ে পড়ছে।
সোমবার (৩১ মে)ভোর ৫ টায় উখিয়ার পালংখালী গয়ালমারা নামক স্হানে কিশোর গ্যাং সদস্যরা সিএনজি ও টমটম গাড়ি আটকিয়ে ৫টি মোবাইল সেট ও ৬৫ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে।অনেকে মনে করছেন এইসবের পিছনে রয়েছে সৌদি ফেরত মাদকাসক্ত ও বিজিবি’র সোর্স পরিচর দানকারী নুনিয়া নামের ওই বখাটে।
জানা যায়, সম্প্রতি ভালুকিয়া গ্রামের ফৈজাবাপের পাড়া এলাকার সাগর নামে এক কিশোর মাদকের টাকা জোগাড় করতে না পারায় আমতলী এলাকার প্রবাসী হারুনের বাড়িতে ডুকে ২ টি দামি স্মার্টফোন চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী।
খোজ নিয়ে আরো জানা যায়,এই কিশোর গ্যাং ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে এলাকায় প্রতিনিয়ত অপরাধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। আবার এদের সাথে রয়েছে অনেকেই পুলিশ-বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সাথে করে যাচ্ছে নানান ধরণের চুরাকারবারি, মাদক ব্যবসা।
সরেজমিনে,উখিয়ায় সর্বত্রে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধিয়ে পেয়েছে। প্রতিটি এলাকায় দল বেধে কিশোররা মাদক সেবন, চুরি ছিনতায় নিত্যদিনে খবর পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সম্প্রীতি রাজাপালং জাদিমুড়া এলাকায় সিএনজি গাড়ী থামিয়ে ছিনতাই করেছে একদল কিশোর গ্যাং। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় এখনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজমান রয়েছে।
স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, করোনাকালে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিশু-কিশোর মোবাইল গেমস, ইউটিউবে, বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখা, টিকটকসহ নানান ধরনের ডিজিটাল বিনোদনের দিকে ঝুঁকছে শিশু-কিশোরেরা। অবাধ ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে ইউটিউবে নগ্ন ভিডিও দেখে কিশোর অবস্থাতেই যৌনতার দিকে আকর্ষিত হচ্ছে অনেকের। এসব প্রলোভন থেকে অন্ধ জগতের ঘটনার সাথে তাল মিলিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে শিশু-কিশোরের এই অপরাধ কর্মকান্ড।
এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের বিষদাঁত ভেঙ্গে দেয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন উখিয়া থানার অফিসার ইনিচার্জ (ওসি) আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ।