মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত:পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে-এডিসি শিক্ষা কক্সবাজার পৌরসভায় জনভোগান্তি ও দুর্নীতির ফাঁদে পৌরবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতার মৃত্যুতে দৈনিক রূপালী সৈকত পরিবারের শোক শাহিন ডাকাতের সেকেন্ড ইন কমান্ড গর্জনিয়ার ত্রাস রহিম অধরা! পেকুয়ায় ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মালবাহি ট্রাকের চালক-হেলপার আহত চকরিয়ায় শ্মশান থেকে রাজমিস্ত্রী সুমন বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার শোক সংবাদ :টেকপাড়া নিবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতা আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ মিয়া আর নেই ,আজ বাদ আছর নামাজে জানাজা চকরিয়ায় পৌরসভা ও ইউনিয়নে সেবাপ্রার্থীরা যেন বিড়ম্বনায় না পড়ে নির্দেশনায় বিভাগীয় কমিশনার ঈদগাঁওতে বিএনপির প্রয়াত নেতা কর্মীদের স্মরণ সভার প্রস্তুতি সভা যেন প্রবীণ নেতা কর্মীদের মিলন মেলা

ঈদগাঁওর’কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কক্সবাজার শহরে টীকা দান, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৩৯ বার পঠিত

শেফাইল উদ্দিন।
কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলার শিক্ষার্থীদের কোভিড ১৯ প্রতিরোধে টীকা দেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার শহরে।
এ টীকা দান কর্মসূচি ঈদগাঁও উপজেলার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য এক মহা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে অভিভাবকমহল ও স্কুল কর্তৃপক্ষ
টীকাদান নিশ্চিতকরণে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
রবিবার ( ১৯ ডিসেম্বর ) থেকে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
জানা যায়, ১২ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টীকাদানের জন্য সরকার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এ টীকা সংরক্ষণ করতে হয়। কক্সবাজার জেলা শহরে সংরক্ষণাগার থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ নেই।
তাই দুরদূরান্তের কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জেলা শহরে গিয়ে টীকা নেয়াটা একদিকে ব্যয়সাপেক্ষ অন্যদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এতে টীকা নেয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে বেশির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। ঈদগাঁও উপজেলার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ৩২ কিলোমিটার দূরে আর একটি উপজেলা অতিক্রম করে জেলা শহরে টীকা দেওয়ার জন্য যেতে হচ্ছে । প্রচন্ড শীতে ভোরে শিক্ষার্থীদের জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হচ্ছে । আবার অনেক অভিভাবক দুরত্ব ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে টীকা দান কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করছে না। এতে শতভাগ শিক্ষার্থীদের টীকা দান কর্মসূচি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন বলেন,স্কুলের ১হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীদের কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে টীকাদান নিশ্চিত করাটা পর্বতের মূষিক প্রসবের মত। তিনি আরো বলেন,অনিশ্চয়তা,বিড়ম্বনা আর অজানা শংকায় দোদুল্যমান এই টীকাদান কর্মসূচি।
আবার কিছু কিছু স্কুলের এই টীকাদান কর্মসূচি হয়ে উঠেছে শাপেবর ।
অর্থলোভী কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতায়াত ব্যয়ের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যাতায়াত ব্যয়ের দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করছে।
। ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তার,সালমা সহ অনেকে জানান, কক্সবাজার শহরে গিয়ে আমাদের টীকা দেওয়াটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলায় টীকা দান কর্মসূচি হলে সবার জন্য ভালো হবে।ঈদগাঁও উপজেলার অভ্যন্তরেই এই টীকাদানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সচেতন অভিভাবক মহল জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs