মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর সায়েদের মৃত্যু চকরিয়ায় মটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে চোরের মৃত্যু চকরিয়ায় এলজিইডি”র সাড়ে ৮কোটি টাকার কাজে হরিলুট! পেকুয়ায় সড়ক সংস্কারে বনবিভাগের বাধাঃ প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা খোলাসা করেনি স্হানীয়রা” খুটাখালীতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আরিফ গ্রেফতার পেকুয়ায় লবন চাষীকে কুপিয়ে জখম চকরিয়া জমজম হাসপাতালে উত্তেজনা: পালাক্রমে দুই পক্ষের পাহারা ও তালা ভেঙ্গে এমডি’র চেয়ার দখল! চকরিয়ায় সাবেক কাউন্সিলর,পৌর-ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

ঈদগাঁওর’কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কক্সবাজার শহরে টীকা দান, চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২২১ বার পঠিত

শেফাইল উদ্দিন।
কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলার শিক্ষার্থীদের কোভিড ১৯ প্রতিরোধে টীকা দেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার শহরে।
এ টীকা দান কর্মসূচি ঈদগাঁও উপজেলার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য এক মহা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে অভিভাবকমহল ও স্কুল কর্তৃপক্ষ
টীকাদান নিশ্চিতকরণে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
রবিবার ( ১৯ ডিসেম্বর ) থেকে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।
জানা যায়, ১২ বছরের অধিক বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টীকাদানের জন্য সরকার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এ টীকা সংরক্ষণ করতে হয়। কক্সবাজার জেলা শহরে সংরক্ষণাগার থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে সেই সুযোগ নেই।
তাই দুরদূরান্তের কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জেলা শহরে গিয়ে টীকা নেয়াটা একদিকে ব্যয়সাপেক্ষ অন্যদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এতে টীকা নেয়ার আগ্রহ হারাচ্ছে বেশির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। ঈদগাঁও উপজেলার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ৩২ কিলোমিটার দূরে আর একটি উপজেলা অতিক্রম করে জেলা শহরে টীকা দেওয়ার জন্য যেতে হচ্ছে । প্রচন্ড শীতে ভোরে শিক্ষার্থীদের জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হচ্ছে । আবার অনেক অভিভাবক দুরত্ব ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে টীকা দান কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করছে না। এতে শতভাগ শিক্ষার্থীদের টীকা দান কর্মসূচি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন বলেন,স্কুলের ১হাজার মেয়ে শিক্ষার্থীদের কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে টীকাদান নিশ্চিত করাটা পর্বতের মূষিক প্রসবের মত। তিনি আরো বলেন,অনিশ্চয়তা,বিড়ম্বনা আর অজানা শংকায় দোদুল্যমান এই টীকাদান কর্মসূচি।
আবার কিছু কিছু স্কুলের এই টীকাদান কর্মসূচি হয়ে উঠেছে শাপেবর ।
অর্থলোভী কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতায়াত ব্যয়ের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যাতায়াত ব্যয়ের দ্বিগুণ, তিনগুণ টাকা আদায় করছে।
। ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাহিদা আক্তার,সালমা সহ অনেকে জানান, কক্সবাজার শহরে গিয়ে আমাদের টীকা দেওয়াটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলায় টীকা দান কর্মসূচি হলে সবার জন্য ভালো হবে।ঈদগাঁও উপজেলার অভ্যন্তরেই এই টীকাদানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সচেতন অভিভাবক মহল জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs