শেফাইল উদ্দিন।
উচ্চতর শিক্ষার ডিগ্রি ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) লাভ করলেন কক্সবাজারের
কৃর্তি সন্তান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি রসায়ন বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রির পাঠ চুকিয়েছেন।রসায়ন বিজ্ঞানের আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ কিন্তু
সহজলভ্য নই এ রকম রাসায়নিক উপাদান কিভাবে প্রস্তুত করা যায় গবেষণার থিসিসে এমন বিষয়টি চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করেন কক্সবাজারের গর্বিত এ বরপুত্র।
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের
দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকায় জন্ম নেয় ড. শহিদুল ইসলাম। তাঁর পিতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ
রশিদ বর্ণিত ইউনিয়েনের সাবেক জনপ্রতিনিধি ছিলেন।
তিনি শিক্ষাজীবনে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন থেকে সাফল্যের সাথে এসএসসি,কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন।
পরে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপ্লাইড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি অনার্স এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন যা চাকুরীর প্রথম পরীক্ষাতেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে শিক্ষকতা করার সুযোগ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
চাকুরীতে যোগদানের অল্পদিনেই স্কলারশিপ নিয়ে তিনি পিএইচডি করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান সাফল্যগাঁথা এ মেধাবী মুখটি। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাস করছেন। বর্তমানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এদিকে তার সহধর্মিণীও সেখানে পিএইচডি গবেষণায় রত আছেন। তার ছোট দুই বোন সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির আমৃত্যু আহবায়ক
মরহুম আলহাজ্ব মোঃ শফি, কলাতলীস্থ হোটেল হিলপার্কের স্বত্বাধিকারী ও ফ্রেশ ইন রেস্তোঁরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল কবির ও সদর যুবলীগের
সহ-সভাপতি নুরুল আবছারের ভাতিজা।
তাঁর কৃতিত্বে ছাত্রজীবনের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, পিতামাতা, চাচা-চাচী আত্বীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, ড. মোহাম্মদ শহিদুল
ইসলাম। ড. শহিদুল ইসলামের কৃতিত্বের বিষয়টি তাঁর চাচা কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) এর সিনিয়র সহ সভাপতি, দৈনিক একাত্তর পত্রিকার সহ সম্পাদক বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী নুরুল আমিন হেলালী নিশ্চিত করলে এলাকায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করার মত। তাৎক্ষনিক বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে পড়ে শহিদের ডক্টরেড লাভের বিষয়টি। স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাংখিদের অভিবাদনের বার্তা যেন একটি আলোকিত সমাজ বির্নিমান তথা আগামী
প্রজন্মের কাছে নতুন মাইফ ফলক হয়ে থাকল একজন মেধাবী শহীদুল ইসলামের নামটি। এদিকে, তাঁর সাফল্যে কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) , কক্সবাজার
ফিল্ম সোসাইটি, ঊষা আর্ট ইনিস্টিটিউট, বাঁকখালী বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল, ঈদগাঁও প্রেস ক্লাব, ঈদগাঁও থানা মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও ঈদগাহ প্রেস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানিয়েছেন।