বার্তা পরিবশক।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানাধীন পোকখালী ইউনিয়নে লবণ শ্রমিকের বাড়ি থেকে দেড় ভরি স্বর্ণালংকার, এনজিও সংস্থা ব্রাক থেকে লোন নেওয়া ৫০ হাজার টাকা লুট ও মজুদ করে রাখা ১০ বস্তা লবণ এবং বাড়ির আসবাবপত্র সহ গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় লুট কারীদের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে।
১৫ জুন সোমবার দুপুর ১ টার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডস্থ নজরুলের বাড়িতে এ হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, মৃত সুজা আলমের ১ম স্ত্রী আয়েশা বেগমের সন্তানরা ২য় স্ত্রী ছেনু আরার সন্তানদের পৈতৃক জমিতে ঘর নির্মানে বাঁধা দিলে ২য় স্ত্রীর সন্তান লবণ শ্রমিক নজরুল স্থানীয় থানায় আইনের আশ্রয় চেয়ে আবেদন করলে সদ্য বদলি হওয়া এএসআই মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে বিশৃঙ্খলা না করতে অনুরোধ করেন৷
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যাওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত ইউসুফ নবী ও তার বোনেরা প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও বহিরাগতদের দিয়ে হুমকি দমকি দিয়ে আসছিল।
ঘটনার দিন অভিযোগকারী ছেনু আরার বাড়ির লোকজন পাশে ক্ষেতের কাজে ব্যস্ততার সুযোগে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে ইউসুফ নবীর নেতৃত্বে আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি৷ এসময় বাড়িতে থাকা শিশুর চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এসে বাঁধা দিলে লুট কারীদের হামলায় ছেনু আরা (৪৮), হাসিনা আক্তার(২২), নুরুল ইসলাম (২১) ও তৌহিদুর ইসলাম (১৬) আহত হয়।
বাড়ি লুটপাট করে হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিমের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরের দিন ১৬ জুন আবারো এসআই শামীম ও এসআই রেজাউল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে মহামান্য আদালতের নির্দেশনা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন৷
বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট এবং আহত হওয়ার ঘটনায় নিকটস্থ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে৷
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। সৃষ্ট ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে৷