শেফাইল উদ্দিন, কক্সবাজার।
কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ায় ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ নারীসহ ১৭ জন আহত হয়েছে। ২৫ এপ্রিল রোববার সকাল সাড়ে ৯ টা’য় ওই ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরের পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঈদগাঁও থানা পুলিশের এসআই শামীম ও এসআই রেজাউল করিমের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এদিকে ঘটনায় আহতরা হলেন মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপি, তাঁর বড় ভাই গোলাম কবির (৪৫), বড় ভাই রশিদ আহমদের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫), মেম্বারের ভাগিনা ও মোঃ হোছনের ছেলে ইমরান (২০) , সাবেকুন্নাহার এবং শুকলাল দত্ত , মাস্টার আনন্দ মোহনদের ছেলে সুমন কান্তি দে (৩৮), মৃত রবীন্দ্র দের ছেলে দিলীপ কান্তি দে, বিজয় কান্তি দে’র ছেলে হারাধন দে, জীবন হরিদের ছেলে, শম্ভু দে, বিজয় দের ছেলে মিন্টু, মৃত ৬ষ্ঠী চরণ দের ছেলে সুনীল প্রকাশ পেঁচা, মৃত সাধন দের স্ত্রী জবা রানী, মৃত হৃদ মোহন দের স্ত্রী লেডু, জগত হরির ছেলে রিভিশন এবং অধীর কান্তি দের ছেলে নারায়ন। আহতরা সবাই ওই ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সকলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে সাবেকুন্নাহার ও ইমরান উদ্দিনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। আহত ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি তার সহকারী শুকলালের মাধ্যমে (ব্যক্তিগত উদ্যোগে) করোনাকালীন ঈদ উপহার বিতরণ করছিলেন। ওই ঈদ উপহার বিতরণকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন উল্লেখিত শুকলালের সাথে অপর সম্ভাব্য ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ও মাস্টার আনন্দ মোহনের ছেলে সুমন দের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সুমন তাকে বন্দুকের নলের মুখে জিম্মি করেন এবং ডেকোরেশেন বাবুল, কাজল ও কাঞ্চনের নের্তৃত্বে আরো অনেকে তাকে বেধড়ক পিটাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে উল্লেখিতদের নের্তৃত্বে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। অপরদিকে ডেকোরেশন বাবুল তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সাইফুল মেম্বার ঈদ উপহারের নামে শুকলালকে দিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের জন্য আগাম ভোট কেনার চেষ্টা চালাচিছলেন। এলাকাবাসী সাইফুল মেম্বারের এসব অপকর্ম প্রতিহত করার চেষ্টাকালে তার নের্তৃত্বে তার অপরাপর সাঙ্গপাঙ্গরা এলাকাবাসীদের উপর হামলা চালিয়ে ২ নারীসহ ১১জনকে পিটিযে আহত করে। উভয়পক্ষ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক বলেন, ঘটনা যাতে আর বিস্তারলাভ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে এবং তিনি পক্ষদ্বয়কে শান্ত থাকার আহবান জানান। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন আল ইসলাম (কক্সবাজার সদর সার্কেল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং শান্তি-শৃংখলা বজায় কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু ইসলামাবাদ ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপির উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন। এঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে রুপ দিতে এলাকার একটি কুচক্রী মহল জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।