স্টাফ রিপোর্টার।
কক্সবাজার ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আউলিয়াবাদ এলাকার মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ আনচারির (৩৮) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং হাজী পাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের কন্যা জুলেখা বেগম (২৪) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আনচারির সাথে চৌফলদণ্ডী খোনকারখিল এলাকার মৃত অঝু খাঁর ছেলে নূরুল আবছার (২৭) নামের অপর এক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। মামলার এজাহারে জানা যায়, ২৭/০৮/২১ইং রাত আনুমানিক ৮টার দিকে কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের সমুদ্র কান্তা নামের এক হোটেলের ১০৫নং কক্ষে প্রথমে নূর মোহাম্মদ আনচারি ও তার সহযোগী নূরুল আবছার পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে পরদিন সকাল আনুমানিক নয়টার দিকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যথাযথ চিকিৎসা শেষে ৩১/০৮/২০২১ইং তারিখ সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ১এ বাদিনী স্ব শরীরে হাজির হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
বিজ্ঞ আদালত মামলা (মামলা নং ২১৬/২১) আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী ১২/১০/২০২১ইং তারিখ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য আদেশ দেন। মামলায় বাদিনীসহ ৫জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে। যথাক্রমে (১) বাদিনী, (২) হোটেল ম্যানেজার নজিরুল ইসলাম, (৩) খরুলিয়া চরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে বাবুল, (৪) কলাতলীর ছৈয়দ আকবরের ছেলে আইয়ুব ও (৫) নুনিয়া ছড়ার ভুলু মিয়ার মেয়ে জোছনা আক্তার। মামলার বাদী জুলেখা বেগম জানান, তাকে ইসলামাবাদের নূর মোহাম্মদ আনচারি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সী বীচে বেড়াতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাতে হোটেল সমুদ্র কান্তা ১০৫নং কক্ষে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এলাকার লোকজন জানান, নুর মোহাম্মদ আনচারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো বহু অভিযোগ আছে। কিছুদিন আগে এলাকায় তাকে এ ধরনের অভিযোগে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিল। পরে টিনের চাল কেটে বের হয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন আরো জানান, সে মায়ানমার থেকে এসে প্রথমে ঈদগাঁও ইউনিয়নের মাইজপাড়া এরপর ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পাহাঁশিয়াখালী ও পরে আউলিয়াবাদে অবস্থান করে। দুধর্ষ এ নুর মোহাম্মদ আনচারী আগে জামাত শিবিরের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বর্তমানে হাইব্রিড আওয়ামী লীগের সাথে দহরমমহরম। এলাকাবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এ চিহ্নিত অপরাধীর।