নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অনুমতিবিহীন বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৯ ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে শহরের ইউনি রিসোর্ট নামে ঐ হোটেলের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা সেখানে বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এ সভার সভাপতিত্ব করেন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত উখিয়ার পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
তথ্য বলছে, কথিত ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জাতীয় কমিটি’র মহাসচিব পরিচয়ে গফুর সভায় উপস্থিত হওয়া ইউপি সদস্যদের উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখেন।
এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আন্দোলনের নামে হাজারো লোকজন নিয়ে ‘ইউএনএইচসিআর-এর অফিস ঘেরাও করার মতো স্পর্শকাতর কর্মসূচির কথা বলেন।
সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা ইস্যুকে পুঁজি করে কক্সবাজারে সুকৌশলে নাশকতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পনার অংশ ছিলো তার এমন প্ররোচণামূলক বক্তব্যের উদ্দেশ্য।
একটি সূত্র বলছে সম্প্রতি চট্টগ্রাম কারাগারে গিয়ে বদির সাথে দেখা করে এসেছেন গফুর। এসব পরিকল্পনার পেছনে বদির প্রত্যক্ষ মদদ ও তার অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছি সূত্রটি।
সভায় সঞ্চালক ছিলেন বাইসস’এর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যিনি ঝিলংজা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা।
পুলিশের অভিযান চলাকালীন কৌশলে গফুর ও নাসির সহ পরিকল্পনায় লিপ্ত আরো অনেক পালিয়ে যান বলে জানা গেছে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ পন্থীদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান।
তিনি বলেন, ‘ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। প্রশাসন বা কারো কাছ থেকে এই বৈঠকের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ‘
সভায় অনেক ইউপি সদস্য অংশ নেন উল্লেখ করে তিনি জানান, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পালিয়ে যাওয়া নেপথ্যের পরিকল্পনাকারীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।