আলিম উদ্দিনঃ
বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজার সার্কেলের অধীনস্থ কক্সবাজার ও বান্দরবান পওর এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গত তিন বছর ধরে ঠিকাদার দ্বারা বাস্তবায়নকৃত জরুরী বেরিবাঁধ মেরামতের কাজ করিয়ে অদ্যবধি টাকা না দেওয়ায়, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে আন্দোলনে নেমেছে সকল স্হরের ঠিকাদাররা।
আজ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন সার্কেলের অধীন কক্সবাজার ও বান্দরবান পওর বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে আপদকালীন জরুরী বেরিবাঁধ মেরামতের কাজ ঠিকাদারদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে দেশ উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার হয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত কিছু টাকা ঠিকাদাররা পেলেও ২০২১-২২, ২০২২-২৩,২০২৩-২৪ এই তিন অর্থ বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মত বকেয়া পাওনা রয়েছে আমাদের।
তারা জানায়, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সম্পাদিত আপৎকালীন জরুরী বেরিবাঁধ মেরামত কাজের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধের আশ্বাসে কক্সবাজার পওর বিভাগ এর তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী গত আগস্ট/সেপ্টেম্বর মাসে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জরুরী বেরিবাঁধ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করিয়েছে আন্দোলনরত সকল ঠিকাদার দ্বারা।
আজ পর্যন্ত কক্সবাজার পানি উন্নয়ন সার্কেল থেকে কোন ঠিকাদার কাজের বকেয়া টাকা না পাওয়ায় অনেকেই কর্মহীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাই আমরা গত তিন বছর ধরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন সার্কেল এর সম্পাদিত কাজের বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।
অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার আগে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ সাথে ঠিকাদাররা সাক্ষাত করলে, বকেয়া টাকা দ্রুত পাওয়ার বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে কোন ধরনের আশ্বাস পায়নি বলে জানাই তারা।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম জানায়, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন সার্কেলের অধীন কক্সবাজার ও বান্দরবান পওর বিভাগ আমাদেরকে দিয়ে আপদকালীন জরুরী বেরিবাঁধ মেরামতের কাজ করিয়ে এখনো পর্যন্ত কাজের টাকা পরিশোধ করছে না, যে সকল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমাদেরকে দিয়ে জরুরী বাঁধ মেরামতের কাজ করিয়েছে তাদের শাস্তি দাবী এবং দ্রুত বকেয়া টাকা পাওয়ার দাবিতে আমরা ইতিমধ্যেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি,
ঠিকাদারদের ন্যায্য টাকা না পাওয়া পর্যন্ত চলমান সকল কাজ বন্ধ রেখে ঠিকাদাররা লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য থাকবে বলে জানায় তিনি।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনিসুর রহমান, মিজানুর রহমান, রমজান আলী, হারুনুর রশিদ,নজরুল ইসলাম, আলিম উদ্দিন, দুর্গাচরণ পাল, কন্টাকটার দেবু, মোঃ ইব্রাহিম, করিম উল্লাহ বাদশা, রূপম চৌধুরী, মামুনসহ সকল ঠিকাদার।
এই ব্যপারে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়,
মাত্র দু’মাস আগেই তিনি কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ইতিমধ্যেই তিনি ঠিকাদারদের প্রাপ্ত বকেয়া টাকা’র বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন বলে জানাই।