শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে কক্সবাজার কমার্স কলেজের এইচএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রামুর বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহারে ৮ দিন ব্যাপী বিদর্শন ভাবনা কর্মশালা শুরু ১৩ ডিসেম্বর  উখিয়ায় সরকারী জমি দখল করে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দোকান নির্মাণ টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার: আটক-১ মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে।

আন্তর্জাতিক হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট, ২০২১
  • ২০১ বার পঠিত

রূপালী ডেস্ক।

দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি ফ্লাইটে আসতে পারবেন কক্সবাজার বিমানবন্দরে। কারণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে বিমানবন্দরটি। আর এজন্য বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বিশ্বমানের বিমানবন্দরে পরিণত করতে নিজের পরিকল্পনার কথা বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতকে সহজ ও আরামদায়ক করতে বিমানবন্দরটি আধুনিকায়নের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হয়। ইতোমধ্যে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফিট এবং প্রস্থ ১২০ ফিট থেকে ২০০ ফিটে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সম্প্রসারিত রানওয়েতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ই এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১২ হাজার ফিটে উন্নীতকরণের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এজন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৩৭০৯৬০ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ৯ হাজার ফিট থেকে ১০৭০০ ফিটে উন্নীত হবে। এ ছাড়া প্রিসিশন এপ্রোচ ক্যাট-১ লাইটিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে। ফলে উড়োজাহাজ পূর্ণ লোডে উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারবে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যার পাশাপাশি যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বেবিচক জানিয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে কাজ দেওয়া হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানকে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সদর দফতরে বেবিচক কর্তৃপক্ষ ও চাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউইবি)- চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি)-জেভি’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পটি গত ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন প্রদান করেন। ৫ হাজার ১ শ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ ও শক্তি বৃদ্ধি, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ২৯ আগস্ট প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্প শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs