নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার টেকনাফে ইয়াবার গডফাদাররা অন্ধকার জগত পরিহার করে আলোর পথে তথা ইয়াবার ব্যবসা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন জীবনে ফিরে আসতে প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় ১২৩ জন আত্বসমর্পণ করেছিল। পরবর্তীতে তারা আদালত কর্তৃক জামিনে বের হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। তারা জামিনে বের হওয়ার সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছিল যে,তারা স্বাভাবিক জীবনে না ফিরে আবারো পুরো দমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাবে!বর্তমানে তাদের কৃতকর্মকান্ডে ঠিকই সেটা প্রমাণিত হয়েছে। গেল রবিবার (২৩ই মে ২১ইং) টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে হ্নীলা ইউপিস্থ রঙ্গীখালী ৭নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়াবাডন জামাল হোছাইনের পুত্র আত্বসীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী শাহ আজম আবারো ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়েছে।সে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে পুরো টেকনাফ জুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে আত্বসমর্পণ করে যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে বলে মনে করেন তারা আলোর পথে ফিরে আসার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
গেল ১৬ই ফ্রেব্রæয়ারি ২০১৯ ইংরেজি’তে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী হওয়ায় জামাল মেম্বার এবং তার পুত্র শাহ আজম একই সাথে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্বসমর্পণ করেছিল। অতি সম্প্রতি তারা পিতা পুত্র জামিনে বের হয়ে জমজমাট ভাবে ইয়াবা ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।কোনোভাবেই ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাচ্ছেনা বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা। সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে জামাল মেম্বার এবং তার পুত্র শাহ আজম মিলে পবিত্র রমজানে ১লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা মিয়ানমান থেকে শাহপরীরদ্বীপ হয়ে রঙ্গীখালী এনেছেন বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি স্বীকার করেন এবং সেই ইয়াবাগুলো বিক্রি করতে গিয়ে শাহ আজম পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কথিত জামাল মেম্বার বলেন,তিনি নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ায় এসব তার পরিবারের বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র করছে মাত্র। তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বলেও জানায় ।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের এক মহিলা সদস্য জানান,জামাল মেম্বার পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসায় সক্রিয়। হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান,তাদের চলাচল বেপরোয়া,তবে ইয়াবা ব্যবসায় বর্তমানে জড়িত কি? না, তা আমার জানা নেই।যদি করে থাকে তাদের কৃতকর্মে প্রমাণিত হবে সময়ে । এ প্রসঙ্গে
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান,যারা আত্বসমর্পণ করছিল, তারা এখন পুরো দমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, নিজের প্রাণ বাঁচাতে সেটা কৌশল করেছিল তারা। তিনি আরো বলেন,আত্মসমর্পন কারীরা জেলখানায় বসেও ইয়াবা ব্যবসা করেছিল,জামিনে বের হয়ে আরো জমজমাটভাবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পুরো দমে। শুধুমাত্র পাচারের কৌশলটা পরিবর্তন করেছে ।এদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান তিনি।
টেকনাফ মডেল থানার (ওসি অপারেশন) খুরশিদ আলম আটককৃত ইয়াবাডন আজম প্রসঙ্গে জানান,পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল তার ব্যাপারে। পুলিশ কারো শত্রু নয়, পুলিশ জনগণের বন্ধু।
মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরু ট্রলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইন্চার্জ মো: হাফিজুর রহমান জানান, আজ হোক কাল মাদক ব্যবসায়িরা আইনের আওতায় আসবে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীদের প্রতি পুলিশের কঠোর নজরদারী রয়েছে।