শেফাইল উদ্দিন:
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময়ের শুরুতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বরণ করা হয়।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর)বিকেল ৩ টায় ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সংগঠনটির প্রতিনিধি তারেকুর রহমানে সঞ্চালনায় এ সভায় অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস, এম সুজা উদ্দিন, প্রভাষক সিগুপ্তা মিশমা, পীরজাদা মোহাম্মদ আলী হোসাইন, ঈদগাঁও প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক শেফাইল উদ্দিন ।
জুলাই অভ্যুত্থানের স্প্রিট নিয়ে বক্তব্য দেন তরুণ আইনজীবী এড. মোবারক সাঈদ, এড. এস,কে ফারুকী, ঈদগাঁও জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন, ঈদগাঁও মানবিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মনির, ঈদগাঁও আইসিটি সেন্টারের পরিচালক সাইমুন ফয়েজ সায়েম।
ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাহাথির আনাস ও আইরিন আক্তার।
উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্য, বিপ্লবে আহত, জেলার সংগঠক, আইনজীবী, শিক্ষক, আন্দোলনকারী, শ্রমিকসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আন্দোলন জোরদার করতে হবে। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দুই হাজারের অধিক শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দিব না।
বক্তারা আরো বলেন, যারা আহত কিংবা শহীদ হয়েছেন, তারা এদেশের শাসক হতে চাননি, তারা দেশের মানুষের খাদ্যের অধিকার চেয়েছেন, শিক্ষার অধিকার চেয়েছেন, কথা বলার ও বেঁচে থাকার অধিকার চেয়েছেন। তাই আগামীর বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে জুলাই অভ্যূত্থানের শহীদদের আকাংঙ্খাকে ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে।
বক্তারা জুলাই স্প্রীটকে ধারণ ও আগামির বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নাগরিক কমিটিতে যোগদানের আহবান জানান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এস, এম সুজা উদ্দিন বলেন, সারা দেশে যেসব ছাত্র ভাইরা জীবন দিয়েছেন, তারা এমনি এমনি জীবন দেননি। তারা নতুন বাংলাদেশ চেয়ে জীবন দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার শহীদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন করছে। আমাদের দায়িত্ব তাদেরকে সহযোগীতা করা। এছাড়া যারা খুন করেছে, খুনের হুকুম দিয়েছে, অস্ত্র উঁচিয়ে ধরেছে, তাদের প্রত্যেকের আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই যেন ফ্যাসিবাদ মাথাছাড়া না দিতে পারে সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংস্কৃতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক চর্চার মাধ্যমে টিকে থাকতে হবে। আমরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ চাই। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরিতে কাজ করবে নাগরিক কমিটি।
এতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন মাস্টার দেলাওয়ার হোছাঈন, মাস্টার জসিম উদ্দিন, নাসির উদ্দিন আলপনা, আবু সালেহ, নাছির উদ্দিন পিন্টু, আলা উদ্দিন, কাউছার উদ্দিন শরীফ সহ সংশ্লিষ্টরা।