নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজার সিকদার পাড়ায় ব্যাক্তি মালিকানাধীন খতিয়ানি জমি ভূমিদস্যু চক্র নোটারী বায়না দেখিয়ে অর্ধকোটি টাকার জমি হাতিয়ে নিতে অবৈধভাবে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ জমির প্রকৃত মালিকের।জবর দখলে বাধা দিতে গেলে জমির মালিক গিয়াস উদ্দীনের উপর তারেক বাহীনি হামলা চালিয়ে উল্টো থানায় এজহার দায়ের করে হয়রানি করার কুমানসে মোটা অংকের টাকা দাবী ভূমিদস্যুদের।
কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বিজিবি ক্যাম্প সিকদার পাড়া এলাকায় ২১ এপ্রিল (বুধবার) ভোর ৫ টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনায় তারেক হোছাইন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে । বাদী তারেক হোছাইন অভিযোগে জানান, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখ কক্সবাজার নোটারি পাবলিক কাযার্লয়ে আমার স্ত্রী পাপিয়া সুলতানা সুমি (২৮) ও নজিব উল্লাহ (৪৩) অভিযুক্ত বিবাদীগণের সাথে একটি নোটারী বায়নানামা চুক্তিপত্র দলিল করে। যার নোটারী রেজিস্ট্রি নং ১৪১৪(বি)। ঝিলংজা মৌজার নামজারী ও জমাভাগ ১৪১৮৪ নংখতিয়ানের সৃজিত বি.এস ৬৪৪৪/৪৩৮৪৭ ও ৬৪৪৪/৩৫৬০৮ দাগাদারি সম্পূর্ণ ০.০৭০০ একর বর্তমান নাল শ্রেণি জমি বিক্রয়ের জন্য জমির মালিক মং ৪২,০০,০০০০ (বিয়াল্লিশ লক্ষ) টাকা মূল্য নির্ধারণ করলে উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে বায়না স্বরূপ মং ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা দাতাদ্বয় গ্রহণ করে জমির দখল বুঝায়া দেয়। এতে আমি উক্ত নাল শ্রেণির জমি মাটি ভরাট করে আরসিসি ঢালায় সহকারে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে বসবাস উপযোগী করে ভোগদখল করে আসছি। এতে আমার প্রায় ১০ (দশ) লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল।
দাতা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন (৩৫) বিদেশে অবস্থান করায় তিনি বিদেশ থেকে ফেরার পর জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দাতাদ্বয়ের পিতা মোহাম্মদ জাফর আলম হঠাৎ মৃত্যুবরণ করায় দাতা নাসির উদ্দিন (৩৫) দেশে ফিরে এসে জমি রেজিস্ট্রি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং আমাকে দখল থেকে উচ্ছেদ করতে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বেশ কিছু দিন ধরে প্রতিপক্ষ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বসতঘরের ভিটার জায়গা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় ২১ এপ্রিল (বুধবার) সেহেরি শেষে ভোর ৫ টার দিকে বিবাদীপক্ষ লোকজন নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ঘরের টিনে কুপিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। বাধা দিতে গেলে ভূমি দখলদার বাহিনী ঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র তছনছ করা ছাড়াও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে ঘরে তাণ্ডবের চিহ্ন দেখতে পাই।
এ ব্যাপারে জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুক্তিপত্রে গ্রাহীতাগণ তিন মাসের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি নেওয়ার কথা থাকলেও গ্রহিতাগন জমি রেজিস্ট্রি নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বসে গ্রহিতাগনর প্রদেয় ১০ লাখ টাকা ফেরতের নেওয়ার কথা বললে ওনারা অনৈতিকভাবে ২০,০০,০০০(বিশ লক্ষ) টাকা দাবী করে। এতে আমিসহ আমার অপরাপর অংশীদারগন গ্রহিতাগনের প্রদত্ত ১০,০০,০০০(দশ লক্ষ)টাকা ছাড়া তাদের অনৈতিক দাবীকৃত অতিরিক্ত টাকা দিতে অপরাগত প্রকাশ করিলে তারেকবাহীনির প্রধান তারেক এর নেতৃত্বে ১০/১৫ জন স্থানীয় ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীসহ আমাদের মালিকানাধীন জমিতে রাতের আধাঁরে গেইট এর থালা ভেঙ্গে অনাধিকার প্রবেশ করে।খবর পেয়ে আমি বাধাঁ দিতে গেলে সন্ত্রীসারা আমার উপর হামলা চালায় এবং আমার টিনের ঘর ভাংচুর করে উল্টো আমার বিরোদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়া আমি যেকোন মুহূর্তে গ্রহিতাগনের বায়নার ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত। কারন গ্রহিতাগন বায়নার শর্ত ভঙ্গ করায় ওদের কাছে আর জমি বিক্রি করব না। ইতিমধ্যে গ্রহিতাগনের বিরোদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে, চলমান লকডাউন এর কারনে মামলা দায়ের সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জমির মালিক গিয়াস উদ্দীন।