বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর সায়েদের মৃত্যু চকরিয়ায় মটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে চোরের মৃত্যু চকরিয়ায় এলজিইডি”র সাড়ে ৮কোটি টাকার কাজে হরিলুট! পেকুয়ায় সড়ক সংস্কারে বনবিভাগের বাধাঃ প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা খোলাসা করেনি স্হানীয়রা” খুটাখালীতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আরিফ গ্রেফতার পেকুয়ায় লবন চাষীকে কুপিয়ে জখম চকরিয়া জমজম হাসপাতালে উত্তেজনা: পালাক্রমে দুই পক্ষের পাহারা ও তালা ভেঙ্গে এমডি’র চেয়ার দখল! চকরিয়ায় সাবেক কাউন্সিলর,পৌর-ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

অবহেলায় জর্জরিত ছোট মহেশখালী বহুমূখী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২০৫ বার পঠিত

কাইছারুল ইসলাম,মহেশখালীঃ

দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। সরকারের বিশেষ সুনজরে এ দ্বীপে চলমান রয়েছে সরকারের হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প সমূহ। নগরায়নে
উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি শিক্ষা ব্যবস্থায়। এ দ্বীপাঞ্চলের মানুষ শিক্ষা দিক্ষায় খুব অনগ্রসর। এ অনগ্রসর দ্বীপের ছোট মহেশখালীতে আলো প্রতিফলিত করার প্রয়াসে স্থাপিত হয়েছে ছোট মহেশখালী বহুমূখী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়টি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলায় ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের চতুর্পাশে নেই সীমানা প্রাচীর, ফলে যেকোন কেউ এমন কি, গরু, ছাগলও বিদ্যালয় ডুকে বিদ্যালয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা ছিদ্দিক নূরিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা এবং সরকারী বেসরকারী ভাবে কোন ফান্ড না পাওয়ার ফলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ৬ষ্ট থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন আছে বিদ্যালয়টিতে । বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০০/১৫০ জন। প্রধান শিক্ষক সহ ৫ জন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান অব্যাহত আছে। এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় শিক্ষকদের প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানী দেওয়া হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের শক্ত অবস্থান না থাকার কারণ এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনেকটা দায়সারা পরিচালনার ফলে অবেহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে বিদ্যালয়টি। অফিস সহ ৫ টি কক্ষ আছে। অনেকটা অপরিস্কার অবস্থায় প্রতিটি ক্লাস রুম। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্যঞ্চ। এক শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রয়ােজনীয় সংখ্যক পাখা না থাকায় গরমে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীদের বেশ অসুবিধা হয়। বর্ষাকালে বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে ভীষণ অসুবিধা হয়। কয়েকটি বিষয়ের শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে, যার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিলম্বিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা উৎসাহী হওয়া সত্ত্বেও খেলার পরিবেশ ও পৃষ্ঠপােষকতা নেই বললেই চলে। বিদ্যালয়ে পানীয় জলের সুব্যবস্থা নেই বললেই চলে। একটি টিউবওয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময়ই তা নষ্ট থাকে। ছাত্রছাত্রীরা জানায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি কেন্টিনের ব্যবস্থ্যা করা অতীব জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs